দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলায় সৃষ্ট ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার লক্ষ্যে ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য ব্রিটিশ ভারতে বেঙ্গল সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ডিপার্টমেন্ট প্রধান প্রধান শহরে বিধিবদ্ধ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতঃ দ্রুত উক্ত রেশনিং ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করে। ভারতবর্ষ বিভক্তির পর ১৯৫৫ সালে সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট বিলুপ্ত করা হলে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৯৫৬ সালে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিভিল সাপ্লাই অবয়বে খাদ্য বিভাগ চালু করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য বিভাগ ইত্যাদি নামে পরিচালিত হতে থাকে। সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ খ্রিঃ তারিখের ০৪.৪২৩.০২২.০২.০১.০০২. ২০১২.৯৬ নং পত্র সংখ্যা দ্বারা খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠিত করে (১) খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং (২) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নামে ২টি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হলে খাদ্য মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
আমাদের কর্মকান্ডসমূহ
০১. কাবিখা / টি. আর / জি. আর / ভি.জি. ডি / ভি. জি. এফ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতের চাল/গমের চাহিদা পত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হতে প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে অত্র কার্যালয় হতে ডেলিভারির আদেশ(ডি.ও) ইস্যু করা হয় এবং প্রকৃত ডি.ও ধারীগণ তাহা গ্রহণপূর্বক ০৬(ছয়) ঘন্টার মধ্যে খাদ্য গুদাম হতে চাল/গম বুঝে দেওয়া হয়।
০২. ও.এম. এস / হত দরিদ্র / সরকারী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের মধ্যে খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নকল্পে সরকারী আদেশ অনুযায়ী ডিলার নিয়োগকরাসহ ট্রেজারী চালান মূলে সরকারী অর্থ জমা করে ডিলারগণের অনুকূলে ডি.ও জারী করা হয়।
০৩. তাছাড়া উর্ধ্বতনঃ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত যে কোন আদেশ বাস্তবায়ন ও তদানুযায়ী সেবা প্রদান করা হয়।
2022
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস